আর্টিকেল হলো একটি ওয়েবসাইট এর প্রাণ। আমরা অনেকেই নিজে আর্টিকেল লিখি আবার অনেকেই অন্য কাউকে দিয়ে আর্টিকেল লিখিয়ে থাকি। কিন্তু আমরা অনেকেই সঠিক পদ্ধতিতে আর্টিকেল লেখার নিয়ম জানি না। তাই অনেক সময় ভুল পদ্ধতিতে আর্টিকেল লিখে থাকি। তাই আজ আপনাদের সাথে কথা বলবো সঠিক পদ্ধতিতে আর্টিকেল লেখার নিয়ম।
All Sub Topic
সঠিক পদ্ধতিতে আর্টিকেল লেখার নিয়ম
নিচে কিছু টপিক তুলে ধরার চেষ্টা করবো এই গুলো যদি আপনার আর্টিকেল এ ব্যবহার করেন তাহলে আশা করা যায় সেটি একটি ভালো আর্টিকেল হবে।
সঠিক কিওয়ার্ড নির্বাচন করা
ধরুন আপনি একজন শিক্ষক। একদিন ক্লাশে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সামনে সারা দিন কথা বললেন কিন্তু শেষে শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞেস করে বুঝলেন যে আপনি যে কোন বিষয় নিয়ে কথা বললেন সেটিই ভালো করে বুঝে নাই।
তাহলে কেমন হলো বলেন তো।
আপনি যদি আপনার ব্লগে ৫-১০,০০০ হাজার ওয়ার্ড এর আর্টিকেল লিখেন কিন্তু আপনার মেইন টপিক কি সেটাই ভিজিটর বুঝতে না পারে তাহলে তো কোনো ভিজিটর আপনার সাইটে বেশি ক্ষণ থাকবে না বা পরবর্তীতে আপনার সাইটে আসবে না।
তাই যেকোনো আর্টিকেল লেখার পূর্বে সেই আর্টিকেল এর জন্য সঠিক টপিক বা সঠিক কিওয়ার্ড সিলেক্ট করে নিবেন।
সঠিক শিরোনাম নির্বাচন করা
ইউটিউব ভিডিও বা ব্লগের আর্টিকেলে অনেক সময় দেখা যায় ভিডিও/আর্টিকেল এর শিরোনাম একটা আর ভিতরে লেখা অন্য টপিকে। এটা করলে আপনার ভিজিটর আপনার সাইটে বেশি আসবে না।
তাই কিওয়ার্ড নির্বাচন এর পর সঠিক শিরোনাম সিলেক করে নিবেন।
ইউনিক পোস্ট লেখা
অনলাইনে অনেক অনেক ব্লগ আছে। বেশির ভাগ ব্লগে প্রায় একই টপিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। তবে দেখবেন কোনো সাইটে প্রতিদিন অনেক ভিজিটর যায় কিন্তু অনেক সাইটে একজনও যায় না।
এর কারণ হলো ভিজিটর দের সামনে আর্টিকেল টি সঠিক ভাবে তুলে ধরার ক্ষমতা একেক জনের একেক রকম হয়ে থাকে।
আপনি যদি অন্য কাউকে কপি করে কোনো আর্টিকেল লিখেন তাহলে আপনার সাইটে খুব বেশি ভিজিটর আসবে না।
তবে আপনি যদি নিজে একদম ইউনিক আর্টিকেল লিখেন তাহলে আপনার আর্টিকেল টি গুগলে র্যাংকক করবে এবং আপনি প্রতিদিন অনেক ভিজিটর পাবেন।
তাই ইউনিক আর্টিকেল পাবলিশ করার চেষ্টা করবেন।
পোস্টে হেডিং ট্যাগ ব্যবহার করা
আমরা যখন একটি আর্টিকেল লিখি তখন সেই টপিকের মাঝে কিছু সাব টপিক আসে। সেগুলোকে হেডিং ট্যাগ এর মধ্যে রেখে আর্টিকেল লিখতে হবে।
এর ফলে সার্চ ইঞ্জিন গুলো আমাদের আর্টিকেল টপিক খুব সহজেই বুঝতে পারে।
পোস্টে মিডিয়া ব্যবহার করা
একটা আর্টিকেল পড়ে একজন ভিজিটর যা বুঝতে পারে একটি ছবি বা ভিডিও দেখে তার থেকে ভালো করে বুঝতে পারে।
তাই আর্টিকেল এর মাঝে মাঝে ছবি বা ভিডিও দেওয়ার মাধ্যমে আর্টিকেল এর বিষয় ভিজিটর খুব সহজেই বুঝতে পারে।
তাই আপনি যখন একটি আর্টিকেল পাবলিশ করবেন তখন তার মাঝে মাঝে ছবি বা ভিডিও দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
পোস্টে লিংক ব্যবহার করা
আপনি যদি এসইও করতে চান তাহলে জানতে পারবেন যে আর্টিকেল এর মাঝে লিংক দেওয়া অনেক জরুরী বিষয়। আমরা যখন কোনো আর্টিকেল লিখবো তাতে ইনবাউন্ড এবং আউটবাউন্ড লিংক দিতে হবে। এটা এসইও এর জন্য অনেক কার্যকরী।
পোস্টে বিস্তারিত সব লেখা
আমরা যখন কোনো আর্টিকেল লিখবো তখন চেষ্টা করবো যাতে ঐ বিষয় নিয়ে সকল তথ্য তুলে ধরার।
চেষ্টা করতে হবে যেন প্রতিটি আর্টিকেল ৬০০ ওয়ার্ড থেকে ৫,০০০ ওয়ার্ড এর মধ্যে থাকলে ভালো হয়।
পোস্টে কিওয়ার্ড ব্যবহার করা
আপনি যখন কোনো আর্টিকেল লিখবেন তখন চেষ্টা করবেন লেখার মাঝে মাঝে মেইন কিওয়ার্ড টি দেওয়ার জন্য।
এতে সার্চ ইঞ্জিন গুলো সহজেই আমাদের লেখার টপিক বুঝতে পারে।
আরো পড়ুনঃ
অনপেইজ এসইও কি | বাংলা এসইও কোর্স
এসইও কি | কিভাবে এসইও করবো | বাংলা এসইও কোর্স
তবে অনেকেই আছেন যারা লেখার মাঝে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি কিওয়ার্ড ব্যবহার করে তাদের সাইট কিছু দিন র্যাংকে থাকলেও পরে গুগল পেনাল্টি দিয়ে দেয়।
তাই যেখানে দরকার শুধু সেখানেই আপনার মেইন কিওয়ার্ডটি ব্যবহার করবেন।
উপসংহার
প্রিয় ভিজিটর,
উপরে আমি সঠিক পদ্ধতিতে আর্টিকেল লেখার নিয়ম টপিকে কথা বলার চেষ্টা করেছি। আপনি যদি উপরের টপিক গুলো মেনে একটি আর্টিকেল লিখেন তাহলে আপনার আর্টিকেল টি একটা আদর্শ আর্টিকেল হিসেবে গণ্য হবে।
আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
1 thought on “জেনে নিন সঠিক পদ্ধতিতে আর্টিকেল লেখার নিয়ম ২০২৩”