আমাদের যাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট সাইট আছে তারা সবাই এসইও বিষয়ে জানি। আমাদের সাইটে বা ব্লগে যখন কিছু পাবলিশ করি তখন সেটিকে এসইও করে তারপর পাবলিশ করতে হয়। তবে আমরা অনেক সময় এসইও করতে গিয়ে ভুল করে থাকি বা এসইও নিয়ে আমাদের অনেকের ভুল ধারণা আছে। তাই আজ আপনাদের সাথে নতুনদের ক্ষেত্রে এসইও এর ১০ টি ভুল নিয়ে আলোচনা করবো। আপনি চাইলে আমার লেখাটি সম্পূর্ণ পড়তে পারেন।
একটি ওয়েবসাইট এ ইউনিক ভিজিটর বা ট্রাফিক আনার আমরা এসইও করে থাকি। ইন্টারনেটে আমাদের সাইটের মতো আরো অনেক সাইট আছে যারা আমাদের মতোই প্রতিনিয়ত কনটেন্ট পাবলিশ করে। তাই আমরা যদি এসইও এর কাজে কোনো ভুল করে ফেলি তাহলেই ঘটে বড় বিপদ। সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্ট পেইজে আমাদের সাইট আর পাওয়ার যায় না এবং আমরা ভিজিটর ও পাই না। তাই এসইও করার ক্ষেত্রে আমাদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।
যারা নতুন এসইও বিষয়টির সাথে পরিচিত হয় তারা অনেক সময় অনেক ভুল পদ্ধতিতে কাজ করে থাকে। তাই তাদের জন্যই আজকের আমার এই আর্টিকেল লেখা।
কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক।
নতুনদের ক্ষেত্রে এসইও এর ১০ টি ভুল
এই আর্টিকেল এ আমি এসইও এর প্রধান প্রধান ১০ টি ভুল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করবো। এগুলো ঠিক থাকলে আশা করা যায় আপনি খুব সহজেই র্যাংক পাবেন।
ডুপ্লিকেট কনটেন্ট পাবলিশ করা
আমরা অনেকেই সময় বাঁচানোর জন্য আর্টিকেল রি-রাইটার দিয়ে আর্টিকেল লিখে থাকি। এসব রি-রাইটার টুলস দিয়ে আর্টিকেল তৈরি করলে লেখার বিষয় বা কথা একই থাকে কিন্তু শুধু গঠন টা চেন্জ হয়ে যায়। তাই এমন করে কিছু দিন আপনার আর্টিকেল সার্চ ইঞ্জিনে থাকলেও পরে কিন্তু ঠিকই আপনাকে পেলান্টি দেওয়া হবে।
আবার অনেকেই মনে করে থাকে বা অনেকের সাথে একটি সমস্যা ঘটতে দেখা যায় যেটি হলোঃ নিজে কোনো আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করলেও সেটা কপি কনটেন্ট হিসেবে বিবেচিত হয়।
এর কারণ জেনে নিন।
ধরুন, বিশ্বে অনেক আর্টিকেল রাইটার আছে। তাদের সকলের মনের ভাব আলাদা কিন্তু অনেক সময় দুজন লেখকের লেখা এক হয়েও যেতে পারে। তাই কোনো আর্টিকেল শেয়ার করার আগে সেটি আগে চেক করে নিবেন সেটা ডুপ্লিকেট কনটেন্ট কিনা। এজন্য ফ্রি একটি টুলস হলোঃ Small SEO Tools।
ভূল কিওয়ার্ড নির্বাচন করা
অনেকে রাইটার ভালো ভালো আর্টিকেল লিখে থাকেন। কিন্তু তারা কিওয়ার্ড রিসার্চ না করেই সেই আর্টিকেল টি পাবলিশ করে দেন। এটা হলো সবচেয়ে বড় ভুল। কিওয়ার্ড রিসার্চ হলো এসইও এর ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
আপনি যদি সাধারণ একটি আর্টিকেল সঠিক কিওয়ার্ডের মাধ্যমে পাবলিশ করতে পারেন তাহলে সেটা র্যাংকক পাবে কিন্তু আপনি যদি অনেক ভালো একটা আর্টিকেল লিখেও সঠিক কিওয়ার্ড না দিয়ে পাবলিশ করে দেন তাহলে আপনাট আর্টিকেল কখনোই র্যাংকক পাবে না। কারণ সার্চ ইঞ্জিন গুলো আপনার আর্টিকেল এর কিওয়ার্ডটি ধরতেই পারবে না।
তাই আর্টিকেল লেখার আগে কিওয়ার্ড রিসার্চ করে নিবেন।
LSI কিওয়ার্ড ব্যবহার না করা
আমরা অনেকেই LSI কিওয়ার্ড এর সাথে পরিচিত না। LSI কিওয়ার্ড হলো আপনার মেইন কিওয়ার্ড এর সাথে মিলে এমন কিছু কিওয়ার্ড। সাধারণত মেইন কিওয়ার্ড এর আগে/পরে কোনো শব্দ ব্যবহার করে নতুন কিওয়ার্ড তৈরি করা। Google suggested results/related keyword বা Ubersuggest.io এর মাধ্যমে অনেক ভালো ভালো কিওয়ার্ড পেয়ে যাবেন। এগুলো আর্টিকেল এর মাঝে ব্যবহার করবেন।
কিওয়ার্ড স্টাফিং করা
এক সময় আর্টিকেল রাইটাররা আর্টিকেল এর মাঝে অনেক বেশি মেইন কিওয়ার্ড দিতো এবং তারা মনে করতো এভাবেই র্যাংক পাওয়া যায়। সার্চ ইঞ্জিন বলে অন্য কথা।
সার্চ ইঞ্জিন গুলো নিয়ম অনুযায়ী আপনি কেবল যেখানে দরকার ঠিক সেখানেই আপনার কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারবেন। বেশি বেশি মেইন কিওয়ার্ড ব্যবহার করলে সার্চ ইঞ্জিন তাকে কোয়ালিটিহীন আর্টিকেল হিসেবে গণ্য করবে।
বেশি বেশি কিওয়ার্ড দেওয়াকে কিওয়ার্ড স্টাফিং বলা হয়।
সব সময় চেষ্টা করেবেন ৫%-৬% কিওয়ার্ড ব্যবহার করা।
ইন্টার্নাল লিংক বিল্ডিং না করা
আপনার সাইটের এক পোস্ট থেকে আরেক পোস্ট বা এক পেইজ থেকে আরেক পেইজে যাওয়ার জন্য যে লিংক তৈরি করা হয় তাকে ইন্টার্নাল লিংক বিল্ডিং বলে। অন পেইজ এসইও এর ক্ষেত্রে ইন্টার্নাল লিংক বিল্ডিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
আপনি যখন কোনো একটি আর্টিকেল পাবলিশ করবেন তখন চেষ্টা করবেন যেন তাতে অপর এক বা একাধিক পোস্ট/পেইজ লিংক দেওয়া।
আরো পড়ুনঃ
এসইও কি | কিভাবে এসইও করবো | বাংলা এসইও কোর্স
অনপেইজ এসইও কি | বাংলা এসইও কোর্স
ভুল টাইটেল এবং মেটা ডেসক্রিপশন ব্যবহার করা
নতুনরা এসইও করার সময় যে ভুল করে থাকে তার মাধ্যে এটিও একটি মারাত্মক ভুল। সার্চ ইঞ্জিন আমাদের আর্টিকেল কি বিষয়ে লেখা এটা বোঝার জন্য প্রথমেই টাইটেল এবং মেটা ডেসক্রিপশন চেক করে।
এমনি একটা ভিজিটর যখন কোনো কিছু লিখে সার্চ করে তখন সে আগে আর্টিকেল এর টাইটেল দেখে এবং তারপর মেটাতে দেখে আর্টিকেল এ কও কি বিষয়ে জানা যাবে।
তাই আমরা যখন একটি আর্টিকেল পাবলিশ করবো তার আগেই টাইটেল এ সঠিক কিওয়ার্ডটি বসানোর চেষ্টা করবো।
এবং ডেটা ডেসক্রিপশন টি অনেক সুন্দর ভাবে লিখার চেষ্টা করবো যাতে এটা পড়ে ভিজিটর পুরো আর্টিকেল এর সারমর্ম বুঝতে পারে।
ইউজার ফ্রেইন্ডলী না করা
গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন সব সময় ইউজারদের কথা ভাবে। তাই ইউজাররা যাতে আপনার সাইটে এসে ভালো একটা ফিডব্যাক পায় এই বিষয়ে সব সময় সচেতন থাকবেন। বিশেষ করে আপনার সাইটটি যেন মোবাইল থেকে অনেক সহজেই ব্রাউজ করা যায় এ বিষয়টি নজরে রাখবেন।
পেইজ লোডিং স্পিড
একটি ওয়েবসাইট এর স্পীড এসইও এর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনার সাইটের স্পীড যদি বেশি না হয় তাহলে ভিজিটর আপনার সাইটে আসলেও সাথে সাথে চলে যাবে এবং আপনার বাউন্স রেট বেড়ে যাবে। তাই সব সময় সাইটের স্পীড বৃদ্ধি রাখার চেষ্টা করবেন।
সাইটে স্পীড মাপার জন্য Google Page Speed Index ব্যবহার করতে পারেন।
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার না করা
বর্তমানে সময়ে সকল বয়সের লোকেরা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে থাকেন। আপনি যদি আপনার সাইট বা কম্পানির নামে একটি পেইজ বা কমিউনিটি তৈরি করে তাতে নিয়মিত সাইটেট লিংক শেয়ার করতে পারেন তাহলে ফ্রিতে ব্যাকলিংক তৈরি হবে এবং প্রতিদিন অনেক ইউনিক ভিজিটরও আপনার সাইটে যাবে।
তাই বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে একটিভ থাকুন।
উপসংহার
প্রিয় ভিজিটর,
আজকের এই আর্টিকেল এ আমি নতুনদের ক্ষেত্রে এসইও এর ১০ টি ভুল নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করি নতুন করে অনেক কিছু শিখতে ও জানতে পেরেছেন।
এবিষয়ে আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করে আমাকে জানাতে পারেন।
আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
1 thought on “জেনে নিন নতুনদের ক্ষেত্রে এসইও এর ১০ টি ভুল | বাংলা এসইও টিউটোরিয়াল”
Deprecated: str_contains(): Passing null to parameter #1 ($haystack) of type string is deprecated in /home/ridoyhas/blog.ridoyhasanalif.com/wp-includes/comment-template.php on line 2681