গত আর্টিকেলে আমরা এসইও কি সহ এসইও নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আজ আমি শেয়ার করবো অনপেইজ এসইও কি,কিভাবে অন পেইজ এসইও করতে হয় ইত্যাদি বিষয়ে। আপনি আগে থেকে না জেনে থাকলে আর্টিকেল টি পড়তে পারেন।
কোনো একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগে প্রতিদিন হাজার হাজার ফ্রি ভিজিটর নিয়ে আসার অন্যতম মাধ্যম হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও। এসইও করে অনেক সহজেই নিজের ওয়েবসাইট কে সবার সামনে তুলে ধরা যায়।
আগের লেখায় আপনি এসইও নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আজ আমি এসইও এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ অনপেইজ এসইও নিয়ে কথা বলবো।
আশা করি সম্পূর্ণ সময়টা আমাদের সাথেই থাকবেন।
অনপেইজ এসইও কি
কোনো একটি সাইট বা ওয়েবপেইজ এর ভিতরের অংশ যেমনঃ কনটেন্ট,ইমেজ,লিংক ইত্যাদি অপটিমাইজ করার পদ্ধতিকে অনপেইজ এসইও বলা হয়।
আপনি যদি আপনার সাইটের অনপেইজ টা ঠিক মতো সাজাতে পারেন তাহলে আপনি অনেক একটা র্যাংক পাবেন।
কিভাবে অনপেইজ এসইও করতে হয়
একটা সময় ছিলো যখন ওয়েবসাইট মালিকরা শুধু নিজেদের লেখার মাঝে,ইমেইজের মাঝে বেশি বেশি কিওয়ার্ড ব্যবহার করাকে বুঝতো।
তখন সার্চ ইঞ্জিন গুলোর বোট গুলো তেমন একটা উন্নত ছিলো না তাই অনেক সাইট শুধু এভাবেই র্যাংকক পেতো। কিন্তু এখন সকল সার্চ ইঞ্জিনের বোট গুলো বিশেষ করে গুগলের অ্যালগরিদম অনেক হার্ড হয়ে গেছে।
এখন যদি কেউ অকারণে তার লেখার মাঝে কিওয়ার্ড ব্যবহার করে তাহলে তাকে লেখাটি কোনদিন র্যাংক পাবে না।
লেখার মাঝে বেশি বেশি কিওয়ার্ড ব্যবহার করাকে কিওয়ার্ড সাফারিং বলা হয়।
এভাবে কেউ হয়তো র্যাংক পেলেও এক সময় না এক সময় গুগলের থেকে পেলান্টি খেতে হবে।
সঠিকভাবে কিওয়ার্ড ব্যবহার করা
গুগল বলেছে আমরা যখন কোন একটি আর্টিকেল লিখবো তখন সেটার মাঝে প্রয়োজনের চেয়ে কম বা বেশি কিওয়ার্ড ব্যবহার করা যাবে না। যখন যেখানে দরকার ঠিক সেখানেই কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে।
তবে লেখার মাঝে সরাসরি কিওয়ার্ড ব্যবহার না করে রিলেটেড কিওয়ার্ড ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি সহজেই র্যাংক পেতে সহায়তা করে।
যেমন ধরুন আপনি আপনার সাইটে ডিজিটাল মার্কেটিং কি এটা নিয়ে একটি আর্টিকেল লিখবেন। এখন আপনার লেখার মাঝে,টাইটেলের মাঝে,মেটার মাঝে যদি এর রিলেটেড কিছু কিওয়ার্ড যেমনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স,ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে করতে হয়,বাংলাদেশে ডিজিটাল মার্কেটিং,ইত্যাদি কিওয়ার্ড গুলো ব্যবহার করেন তাহলে সার্চ বোট গুলো সহজেই বুঝতে পারবে আপনার আর্টিকেল টি কোন বিষয়ের উপর লেখা।
ওয়বসাইটের স্পিড বাড়ানো
ওয়েবসাইটের স্পিড হলো গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। স্পীড কম থাকলে আপনার র্যাংক পাওয়া অনেক কষ্টকর হয়ে যাবে আবার কোন ক্ষেত্রেই পাবেনই না।
ধরুণ গুগল থেকে কোন একটি ইউজার আপনার সাইটে আসলো কিন্তু সাইট লোড না হওয়ার জন্য ভিজিটরটি চলে গেলো এতে আপনার বাউন্স রেট বেড়ে যাবে এবং আপনি র্যাংকে নিচের দিকে চলে যাবেন।
তাই ভালো ভালো থিম ব্যবহার করবেন যেগুলো অনেক দ্রুত লোড হয়।
আপনার সাইটের স্পীড টেস্ট করার জন্য Google Page Speed Insights এবং Gtmetrix ব্যহার করতে পারেন।
ওয়েবসাইটের স্পীড কিভাবে বাড়ানো যায়
আপনার সাইটের স্পীড বাড়ানোর জন্য অনেক গুলো পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন।
যেমনঃ
১/ আপনার সাইটে যেসব ছবি আপলোড করবে সেগুলোর সাইট ৫০০ kb এর বেশি হওয়া যাবে না।
২/ ভালো একটি হোস্টিং কম্পানি (আমারহোস্টার ব্যবহার করতে পারেন) থেকে হোস্টিং নিয়ে ওয়েবসাইট বানাতে পারেন। এতে সাইটের স্পীড অনেক বেড়ে যায়।
৩/ ভালো একটি CDN ব্যবহার করবেন। সবচেয়ে সেরা CDN হলো Cloudflare
আরো আর্টিকেল পড়ুন
৪/ আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে থাকেন তাহলে wpastra,generatepress,genesis framework এই থিমগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো অনেক দ্রুত লোড হয়। এবং প্লাগইন হিসেবে WP Fastest Cache,WP Rocket,WP Super Cache,W3 Total Cache,WP-Optimize ব্যবহার করতে পারেন।
উপরের পদ্ধতি অনুসারে আপনার সাইটে স্পীড বাড়িয়ে নিতে পারবেন।
কিওয়ার্ড প্লেস করা
আপনার লেখার যে শিরোনাম তাকে টাইটেল ট্যাগ বলা হয়। এই শিরোনামে অবশ্যই আপনার মেইন বা ফোকাস কিওয়ার্ড রাখতে হবে।
গুগলে আমরা যখন কিছু সার্চ দেই তখন আমরা তিনটি বিষয় দেখতে পারি।
যেমনঃ সবার উপারে থাকে সাইটের টাইটেল,তার নিচে থাকে সাইটের ইউআরএল,এবং শেষে সাইটের একটু সারাংশ লেখা থাকে যাকে মেটা ট্যাগ বলা হয়।
এই তিনটি জায়গায় আমাদের মেইন কিওয়ার্ডটি রাখতে হবে।
আমরা সাইটে যে ছবি আপলোড করি সেটা গুগল বুঝতে পারে না যে ছবিটি কিসের বা ছবিটিতে মূলত কি আছে। তাহলে আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে গুগল ছবি গুলো র্যাংক করে কিভাবে?
আসলে আমরা যখন কোন একটি ছবি আপলোড করি তখন তাতে একটি Alt ট্যাগে আমাদের কিওয়ার্ড বসিয়ে দেই। গুগল মূলত সেই Alt স্ক্যান করে বুঝতে পারে ছবিটি কোন বিষয়ের।
তাই Alt ট্যাগে কিওয়ার্ড ব্যবহার করবেন।
সিম্পল এবং রিডেবল কনটেন্ট
রিডেবল কনটেন্ট বলতে মূলত ঐসব কনটেন্টকেই বোঝায় যেসব কনটেন্ট এ থাকা লেখা গুলো বা কনটেন্ট এর মূল টপিক একটি ইউজার সহজেই বুঝতে পারে।
আপনি যদি এমন ভাবে কনটেন্ট লিখেন যে কেউ বুঝতেই পারবে না আপনি কি বলতে চাচ্ছেন তাহলে তো আপনার সাইটে ভিজিটর আসবে না এবং আসলেও বাউন্স করে চলে যাবে।
তাই যতটা পারুন সহজ ভাষায় লেখার চেষ্টা করুন।
ইনবাউন্ড / আউট বাউন্ড লিংক
আমরা যখন আমাদের লেখায় একই সাইটের অন্য কোনো পেইজ বা পোস্টের লিংক দিব তখন সেটাকে ইন বাউন্ড লিংক হিসেবে গণ্য হবে।
এবং আমরা যখন আমাদের লেখার বাইরের কোনো সাইটের লিংক এড করবো তখন সেটা আউটবাউন্ড লিংক হিসেবে গণ্য হবে।
তবে এই দুধরনের লিংকই আমাদের সাইটের জন্য দরকারী।
তাই যেখানে যে লিংক দরকার সেখানে সেই লিংক যোগ করুন।
নিয়মিত পোস্ট করা
আমি নিয়মিত পোস্ট বলতে সপ্তাহ প্রতি ৩-৪ টি পোস্ট করাকে বুঝিয়েছি। তবে আপনার যদি সময় থাকে তাহলে আরো বেশি পোস্টট করতে পারবেন।
আপনি যত বেশি ভালো ভালো পোস্ট করবেন গুগল আপনার সাইটকে তত ভালো নজরে দেখবে।
প্রতিটি পোস্ট কত সংখ্যার হলে ভালো হবে সেটা সিউর ভাবে কেউ বলতে পারবে না তবে আপনি যদি ৬০০-৯০০ + ওয়ার্ডের পোস্ট করতে পারেন তাহলে ভালো হয়।
উপসংহার
প্রিয় ভিজিটর,এই পোস্টে আমি অনপেইজ এসইও কি,কিভাবে অনপেইজ এসইও করতে হয় ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করেছি। এর বাইরেও যদি আপনার কিছু জানার থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
2 thoughts on “অনপেইজ এসইও কি | বাংলা এসইও কোর্স”
Deprecated: str_contains(): Passing null to parameter #1 ($haystack) of type string is deprecated in /home/ridoyhas/blog.ridoyhasanalif.com/wp-includes/comment-template.php on line 2681